ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ কার্যত তুলে দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম করেছেন।
বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এছাড়া জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক।
ডাকসু নির্বাচনে স্থগিতাদেশের সূত্রপাত হয় রোববার (৩১ আগস্ট) দায়ের করা এক রিট থেকে। ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদপ্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম ওই রিট দায়ের করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাইকোর্ট নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন। তবে একইদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে গেলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব হাইকোর্টের আদেশ তাৎক্ষণিক স্থগিত করেন এবং আপিল বিভাগে বিষয়টি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয় এবং বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগ চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেয়, ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে আর কোনো বাধা নেই। আদালত একইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিলের সুযোগ বহাল রেখেছেন।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী ডাকসুর এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। বিভিন্ন সম্পাদক পদে শতাধিক প্রার্থী লড়ছেন, আর সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৭ জন।
আইনজীবীদের মতে, আপিল বিভাগের এই নির্দেশনার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।
সূত্র: এফএনএস।