বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের মুক্তি মিলেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করেছে দেশের ছাত্র-জনতা। সব শ্রেণির মানুষই জীবন দিয়েছে।
তবে দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এমন দেশে আমরা বাস করি, যেখানে মৃত্যুর পর লাশের পরিচয়ও পাওয়া যায় না। মাসের পর মাস মর্গে লাশ পড়ে আছে। আবার অনেকের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার পাবনা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) পাবনা জেলা শাখা আয়োজিত শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ হত্যা করা হয়েছে। লাশ গাড়িতে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেককে গুম করা হয়েছে। মতের বাইরে গেলেই তাকে জুলুম-নির্যাতন করা হতো। সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে দেশের মানুষকে। এখনো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে লাশ পড়ে আছে ছয়জনের, পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফ্যাসিবাদী আমলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর হাসিনার জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সময় সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর লাগাতার হুলিয়া জারি করা হয়েছিল। কোনো শিল্পী খুনি হাসিনার বিপক্ষে কোনো গান রচনা করলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল করা হতো।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের ভাগ্য নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। সাধনা ও ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে। নৈরাজ্য ও ভীতির সৃষ্টি করা যাবে না।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) পাবনা জেলার সভাপতি খালেদ হোসেন পরাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- পাবনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইথুন বাবু প্রমুখ।