নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের ইটালি রাস্তার পাশে ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-৫। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন র্যাব। তদন্তে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হল উপজেলা চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের ফারুক প্রামাণিকের ছেলে সাগর প্রামাণিক (১৮) ও একই গ্রামের মনসের প্রামাণিকের ছেলে সুলতান প্রামাণিক (১৯)।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কৃতরা জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম জিহাদ। যার সঙ্গে তাদের চার মাস আগে পরিচয় হয়। আড্ডা দেয়া ও গাঁজা সেবনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সম্প্রতি আর্থিক সংকটে পড়েন সাগর প্রামাণিক ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। অপর যুবক সুলতান প্রামাণিকও একই ধরণের অর্থ কষ্টে ছিলেন। পরে দুই সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করে তারা জিহাদকে হত্যার মাধ্যমে তার ব্যাটারি চালিত ভ্যানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় তারা চৌগ্রাম বাজারে জিহাদের সঙ্গে দেখা করে এবং বাজার থেকে গোপনে চেতনা-নাশক ট্যাবলেট সংগ্রহ করে। পরে সেটি স্পিড ড্রিংস এর সাথে মিশিয়ে জিহাদকে খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ইটালী-ইন্দ্রাসুন রাস্তার পাশে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পানিতে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার পর সুলতান প্রামাণিক নিহতের মুঠোফোন নিজের কাছে রাখে এবং সাগর ভ্যানটি ইটালী গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে রেখে আসে।
র্যাবের অভিযানে তাদের দেখানো মতে উদ্ধার করা হয় নিহত জিহাদের মোবাইল ফোন, হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত টায়ারের টিউব ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানগাড়ি।
সূত্র: এফএনএস।