খুলনায় ঘরে তৈরি দেশি মদপানে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় মদ বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আবু তারেক।
আটক ব্যক্তি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মোসলেম আলী (৭৮)। নগরীর রায়েরমহল পশ্চিম পাড়া মালেক সড়কে চেম্বারের আড়ালে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে অবৈধভাবে মদ তৈরি ও বিক্রি করতেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বিষাক্ত উপাদানে তার হাতে তৈরি মদ পান করে গত কয়দিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে সম্প্রতি আরও কিছু মানুষ এলাকায় মারা গেছে, যারা ওই ডাক্তারের গ্রাহক ছিলেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তারেক বলেন, শুক্রবার ও শনিবার দক্ষিণ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে রাসেল সরদার নামে আরও এক ব্যক্তি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া এলাকায়।
তিনি জানান, শেখ মোসলেম আলি দীর্ঘদিন ধরে এলকোলি নামের মাদক, ঘুমের ওষুধ ও চুনের পানি দিয়ে ঘরে বসে মদ তৈরি করতেন। যা চিকিৎসার ভাষায় বিষাক্ত মদ। আড়ংঘাটা থানার পূর্ব বিল পাবলা মদিনা নগর এলাকার একটি ঘেরে বসে কয়েকজন সেই মদ পান করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে একজন এবং শনিবার আরও ৪ জন মারা যান। রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মদ বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোসলেম আলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রিজন সেলে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা মহানগরীর বয়রার বাসিন্দা ৪ জন, পিরোজপুরের একজন এবং ডুমুরিয়ার একজন রয়েছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, খুলনায় অবৈধ ভাবে মদ তৈরি করছেন এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। পত্রিকায় মাধ্যমে জানতে পেরেছি মদ পানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবৈধ মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সূত্র: আমার দেশ