আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা অধ্যাপক মাহমুদা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বেলা সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর জুরাইন পুরনো ভিআইপি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফন শেষে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক এম. আব্দুল্লাহ, আমার দেশ-এর পরিচালক আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা ও শাকিল ওয়াহেদ, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, পিএসসির সদস্য নাজমুল আলম মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া আমার দেশের সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দাফনে অংশ নেন।
এর আগে রোববার জোহরের নামাজের পর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন গুলশান আজাদ মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহিম।
রোববার ভোরে রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান, পুত্রবধূ ফিরোজা মাহমুদ এবং ছোট বোন মনিরা মাহমুদসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন।
জানাজার আগে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার মা একজন ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। তিনি অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। আমার জানা মতে, তিনি কাউকে কষ্ট দেননি।
আমার দেশ সম্পাদক আরও বলেন, আমার মা অনেক ছাত্রকে পড়িয়েছেন। এই জানাজায় ছাত্ররা এসেছেন। শিক্ষকতাকালে আমার মা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা করে দেবেন।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, আশরাফ উদ্দীন নিজান, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন অসীম, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, ইনসাফ বারাকাহ কিডনি এন্ড জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হোসেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আমান আল আযমী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনির হোসেন, অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক, ডা. কামাল উদ্দীন ও ডা. রাজন মন্ডলসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
সূত্র: আমার দেশ।