দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে বহু প্রত্যাশিত স্বস্তির খবরে স্বস্তি ফিরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান অবশেষে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক ঘোষণায় বলেন,
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সাধারণ জ্ঞান এবং দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেল এশিয়ার কোটি মানুষ।
সূত্র মতে, স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে একমত হয়েছে দুই দেশ। এই সিদ্ধান্ত আজ শনিবার বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হয়েছে। দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে স্বাক্ষরিত এক যৌথ চুক্তিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এই মধ্যস্থতা ও কূটনৈতিক তৎপরতায় ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রশংসা আসতে শুরু করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং চীনসহ একাধিক রাষ্ট্র এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ, বিমান হামলা ও নৌ অভিযানে দুই দেশই ব্যাপক সামরিক প্রস্তুতি নিয়েছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সীমান্তবর্তী এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয় হাজার হাজার মানুষকে। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কূটনৈতিক দড়ি টানাটানির মধ্যেই শান্তির এই ঘোষণা এল — যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় নতুন আশার জন্ম দিল।
এই যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, কিংবা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন দিকে গড়াবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, এবং এটি যদি সঠিকভাবে রক্ষা করা যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব।
সূত্র: এফএনএস।