ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে শুক্রবার সামরিক অভিযানে চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তার আগের রাতের এক বিমান হামলায় আরো পাঁচজন প্রাণ হারান। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল এএফপিকে বলেন, গাজা সিটিতে একটি স্কুল ভবনে ইসরাইলের বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত হন। স্কুলটি যুদ্ধবিধ্বস্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। আরেকটি বোমা হামলায় একটি তাবুতে আশ্রয় নেওয়া আরো পাঁচজন নিহত হন।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই হামলা চালানো হয়েছিল ‘ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসীকে’ লক্ষ্য করে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা আরো জানিয়েছে, শুক্রবার গাজার উত্তর, কেন্দ্র ও দক্ষিণে পরিচালিত ইসরাইলি হামলায় আরো ডজনখানেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বাসসাল বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত আটজন ছিলেন যারা মানবিক সহায়তা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তারা ইসরায়েলি গোলাগুলিতে প্রাণ হারান।যদিও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
গাজায় সংবাদমাধ্যমের ওপর সীমাবদ্ধতা এবং বহু এলাকায় প্রবেশাধিকার না থাকায় সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য এএফপি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৬৭৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেওয়া এএফপির জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন।
সূত্র: বাসস