গাজায় অব্যাহত গণহত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে এই গণমিছিল বের হয়। দলের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। আরো বক্তব্য রাখেন জমিয়তের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, উত্তরের সভাপতি মকবুল হোসাইন কাসেমী প্রমুখ।
সমাবেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিগত ৬ সপ্তাহ ফিলিস্তিনে কোনো সহায়তাও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। পৃথিবীতে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসরাইলকে থামাতে হবে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কোনো দোকানে ইসরায়েলের পণ্য চলতে পারে না। এসব পণ্য বর্জন করতে হবে তিনি বলেন, মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়াই ভাততের এজেন্ডা। তাই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল ভারতে আর চলতে দেওয়া যাবে না।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না। এ ধরণের নির্যাতন বিশ্ব বিবেকের নিরবতা খুব দু:দুঃখজনক। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে ইসরাইলের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ এবং রুখে দাঁড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে গণহত্যাকারী ও মুসলমানদের দুশমন ইসরাইলের সব পণ্য বর্জনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
এছাড়া ভারতে ওয়াকফ বিল পাশের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের অধিকার খর্ব প্রতিবাদ জানান জমিয়ত নেতারা। তারা অবিলম্বে এই বিল বাতিলের দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সূত্র: আমার দেশ