সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন। হাইকোর্ট এই দণ্ডকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে মুক্তি দিয়েছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাবরের গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিচার প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।
রায়ের বিরুদ্ধে বাবর একই বছর হাইকোর্টে আপিল করেন। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন থাকায় তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য মামলাতেও তার দণ্ড হয়। বিভিন্ন মামলায় খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ মামলার সকল তথ্য পর্যালোচনা করে বাবরের ১৭ বছরের কারাদণ্ডকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তাকে খালাস প্রদান করেন।
বাবরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, “আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। ফলে আদালত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে তাকে মুক্তি দিয়েছেন।”
রায়ের পর বাবর তার আইনজীবীদের মাধ্যমে জানান, “আমি শুরু থেকেই এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আসছিলাম। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলাম।”
এই রায়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাবরের বিরুদ্ধে থাকা অন্যতম গুরুতর মামলাটির অবসান ঘটল।
সূত্র: এফএনএস