1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন

মুজিবের অভিশপ্ত ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়িতে মানুষের ঢল

ডিডিএন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৬১ সময় দর্শন

শেখ মুজিরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ি দেখতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে। ঢাকাসহ আশেপাশের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলা থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে।

চার বছরের শিশু আফিয়া থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধ, প্লে গ্রুপের ছাত্র থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাদ যাননি কেউই। সবাই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে এসেছেন।

অনেকেই বলেছেন এই অভিশপ্ত ভবনটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে। নরসিংদী থেকে এসেছেন গৃহিনী নাসিমা আক্তার ৪ শিশু বাচ্চাকে নিয়ে। গণহত্যাকারী হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের জন্মদাতা শেখ মুজিবের অপরাধের আখড়াস্থলের সর্বশেষ ধ্বংসাবশেষ পরবর্তী প্রজন্মকে দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আবির এসেছেন মিরপুর ১২ নম্বর থেকে অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়েন তিনি। প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী আহনাফকে নিয়ে এসেছেন তার মা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন জানতে পারে, এই ভবনেই বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি। এখানেই যেন ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়, সেটাই প্রত্যাশা।

হামিম মাদ্রাসার ছাত্র এয়ারপোর্ট থেকে এসেছেন, তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হতে চান। এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না। তিনি বলেন, আমি মনে করি এদেশের মানুষের কাছে ২টি নম্বর তাৎপর্যপূর্ণ। ১টি ৩২ অন্যটি ৩৬ (৩৬ জুলাই)। শেখ হাসিনা তথা শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর রোডের বাড়িটি গণহত্যার প্রতীক। ৩৬ বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির প্রতীক। এই বাড়িটা শুধু ভেঙে দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকলে হবে না, এখানে একটি পাবলিক টয়লেট বানানো হবে। তাহলে এটা সারা বিশ্বের স্বৈরশাসকদের, গণহত্যকারীদের জন্য এটা শিক্ষা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, আশীর্বাদের পতনের চিহ্ন এখানে রেখে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সচিবালায় কর্মরত প্রথম শ্রেণীর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গতরাতে আসতে পারিনি, তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলে আসলাম। আসলে শেখ হাসিনার পতন তার বাবার মত অনিবার্যই ছিল, হয়তো একটু সময় বেশি লেগেছে।

অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংকার জানান, রামপুরা আফতাবনগরে থাকেন তিনি। দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এ দেশের মানুষকে সংঘর্ষের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন। শেখ হাসিনার অনুশোচনা হচ্ছে না, সেটা দেখে আমার অনুশোচনা হয়, জানালেন বর্ষিয়ান এই নাগরিক।

ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এত বাড়াবাড়ি করছে, এজন্য তার পতন ছাড়া উপায় ছিল না। তিনি নিজে ডুবলো দেশবাসিকে ডুবাইলো, তার বাবাকে ডুবাইলো, দলটাকে ডুবাইলো।

৭০ বছর বয়সী ইউনুস বলেছেন, হাসিনার ১৬ বছরের গণহত্যাসহ নির্মমতার প্রতীক এই বাড়ি দেখতে এসেছেন। সাড়ে চার বছর বয়সী আফিয়া এসেছে তার মা এবং খালামণির সঙ্গে।

আইটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাজ্জাদ হোসেন জানান, শেখ মুজিবের অবৈধভাবে দখল করা বাড়িটি পাবলিক টয়লেট বানানো দরকার। কলেজ শিক্ষার্থী শামসুন্নাহার বলেন, এক দফা এক দাবি- বাড়িটিকে পাবলিক টয়লেট বানাতে হবে।

বুধবার রাত ১১ টার দিকে ফ্যাসিবাদের আঁতুড় ঘরখ্যাত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের অভিশপ্ত ভবনটির দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়। রাত ১১ টা ১৭ মিনিটে দেয়াল ভাঙার কাজ শেষ হলে ভিতরে প্রবেশ করে এসকেভেটর।

এ সময় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা স্লোগান এবং বিপুল করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করতে থাকেন। স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ‘ফ্যাসিবাদের আতুর ঘর ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’।

এর আগে বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি বাংলাদেশের জন্য অভিশপ্ত আখ্যা দিয়ে ওই বাড়িতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জড়ো হন।

 

সূত্র : আমার দেশ

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host