সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জ উপজেলায় মোট ইটভাটা রয়েছে ৫৯ টি তার মধ্যে ২৭ টি রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। বাকি ৩২ টি ইটভাটা ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে।ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করে এসব ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে, ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র। নষ্ট হচ্ছে ফসল গাছের ফল।অনুমোদনহীন এসব ইটভাটায় ৩ ফসলি কৃষি জমির মাটি দিয়ে বানানো হচ্ছে ইট ।
মেসার্স সান ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় গত ১২/১/২০২৫ ইং তারিখে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ খাদিজা খাতুন, এতে ৪০ হজার টাকা জরিমানা করা হলেও বাকি অবৈধ ইটভাটা গুলো ম্যানেজ করে চলছে।
ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৯ থেকে জানা গেছে, একটি ইটভাটা তৈরির আগে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। কয়েকজন ইটভাটা মালিকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে এসব ইটভাটা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে জানাজায়, একটি ইটভাটা স্থাপনের সরকারি আইন অনুযায়ী এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা যাবেনা, ৫০ টি পরিবার থাকা যাবেনা। এসব আইন না মেনেই ৩ ফসলি কৃষি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে অনুমোদনহীন অবৈধ ইটভাটা।
অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, রায়গঞ্জ উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক , ওমর ফারুক জুবায়ের এ বিষয়ে কোনো কথা বলেতে চাননি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, তুহিন আলম জানান, রায়গঞ্জ উপজেলায় ৩২ টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে, জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সদর দপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অবৈধ অনুমোদনহীন ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।
সূত্র: এফএনএস