ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সানজিদা খাতুন শিফা (১৬) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া উপজেলার চরভাঙ্গুড়া খাঁপাড়া কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমীয়া আক্তার রোজীর উপস্থিতিতে মরদেহটি তোলা হয়।
জানা গেছে, সানজিদার পিতা সফিকুল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে চারজনকে বিবাদি করে পাবনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক ভাঙ্গুড়া থানাকে এজহারটি গ্রহনের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারা এবং দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় নথিভুক্ত করে। মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর ১০ অক্টোবর সানজিদা মারা যান কিন্তু তার পিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ না করে দাফন করেন। পরে সানজিদা গণধর্ষণের ফলে মারা যায় বলে তিনি আদালতে মামলা করেছিলেন(মামলা নম্বর ১৩,তারিখ ২৭/১০/২০২৪)। অভিযুক্ত প্রধান আসামী নিরব ও তিন নম্বর আসামী মাহফুজ পাবনা জেল হাজতে রয়েছে। বাকী দুইজন পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।।