উপজেলা চেয়ারম্যানদের একযোগে অপসারণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর রায় আগামীকাল সোমবার ধার্য করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার ৯ আগস্ট শপথ গ্রহণের পর ১৮ আগস্ট দেশের ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাথে ৩২৬টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি মেয়রসহ সমস্ত কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়।
স্থানীয় সরকারের এ রায়ের বিরু্দ্ধে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাজাহান আলী সাজু এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হাইকোর্টে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সাটুরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যানকে অপসারণ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে রায় দেন। সাজাহান আলী সাজুর দায়ের এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি রাশেদুজ জামান রাজার দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন।
সাটুরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান সাজাহান আলী সাজুর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম মুকুল। পাশাপাাশি পার্বত্য চট্রগ্রামের ৯ জন উপজেলা চেয়ারম্যানও তাদের অপসারণের মামলা দায়ের করেন। পার্বত্য চট্রগ্রামের আবেদনকারী উপজেলা চেয়ারম্যানগন হলেন, খাগড়াছড়ি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান ধর্ম জ্যোতি চাকমা, পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অন্ন সাধন চাকমা, বরকল চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান অমর জীবন চাকমা,বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরোত্তম তংচংগ্যা, বাঘাইছড়ি চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা প্রমুখ।পার্বত্য চট্রগ্রামের ৯ উপজেলা চেয়ারম্যানদের পক্ষে মামলা পরিচালনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী।
সুত্রঃ আমার দেশ
(এনএইচ)