1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় পুলিশ মারধরের ঘটনা ফেক, ছাত্রদল নেতা সম্পৃক্ত নয়- ওসি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৪ সময় দর্শন

বিশেষ প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মোবাইল ছিনতাইয়ের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের  উপ-পরিদর্শক মারধরের শিকার হন – এমন ঘটনাটি ফেক বলে দাবি করেছেন ওসি শফিকুল ইসলাম। এতে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুমায়ুন আজাদ মুন ও সদস্য সচিব লিখন সরকারের জড়িত থাকার প্রশ্নও আসেনা বলে তিনি জানান।

ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর শাহজাদপুর উপজেলার দড়িয়াপুর এলাকার বাসিন্দা আসিফ নামের এক ব্যক্তি ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ভাঙ্গুড়ার ছাত্রদল কর্মী জাহিদ তার গলায় চাকু ঠেকিয়ে নগদ ৩৪০০ টাকা ও তার একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে। তখন আসিফ ভাঙ্গুড়া উপজেলার একটি আইটি ফার্মে ফ্রিল্যান্সিং শিখতেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আসিফের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে ভাঙ্গুড়া থানায় আসেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমার অভিযুক্ত জাহিদকে মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন।

জাহিদ ভাঙ্গুড়া বাসস্ট্যান্ড স্মৃতিসৌধ এলাকায় পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম নুরুসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অপেক্ষা করেন। সুব্রত কুমার জাহিদের কাছে ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নুরু উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। উত্তেজনার একপর্যায়ে আসিফের আত্মীয় শাকিল, রাহুল মারধরের শিকার হন। পুলিশের উপ-পরিদর্শক  সুব্রত কুমার বাধা দিতে গেলে তিনি ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল করিমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ধস্তাধস্তির সংবাদটি যখন থানায় পৌঁছে তখন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুন ও সদস্য সচিব অন্য একটি কাজে থানায় উপস্থিত ছিলেন। তখন পুলিশের সঙ্গে তারাও ঘটনাস্থলে যান এবং শান্তি শৃংখলা রক্ষায় তারা পুলিশকে সহযোগিতা করেন। অথচ একটি অনলাইনে হামলার সাথে তাদের জড়িত করার  অপচেষ্টা করে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও ছাত্রদল আহবায়ক মুন ও সদস্য সচিব লিখন সরকার দাবি করেন। এছাড়া পরে বিষয়টি আপোষ-মীমাংশার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় বলে জানাগেছে।

ওসি শফিকুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত আব্দুল করিম উভয়েই বলেন,কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমারের নামে  আহত ব্যক্তির যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে সেটাও এসআই সুব্রত’র নয়। ফলে পুলিশ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে।

মারধরের শিকার আসিফের আত্মীয় শাকিল ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। অবশ্য আহত শাকিলের পক্ষে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

এদিকে কলেজ ছাত্রদল নেতা বায়েজিদ ও ডাবলুকে জড়িয়ে কিছু অনলাইনে  যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে তারাও বলেন,মারধর বা ধস্তাধস্তি ঘটনার সাথে তারা জড়িত নন।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বলেন, “অভিযোগ তদন্তে অভিযুক্ত জাহিদকে ডেকে আনলে বিএনপি নেতা নুরু ও তার কয়েকজন সহযোগী তাকে গালিগালাজ  করেন।

বিএনপি নেতা নুরু বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তা সুব্রত জাহিদকে থানায় না নিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকায় অন্য উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্য তাদের সাথে কথাকাটি হয়েছে।

অভিযোগকারী আসিফের ভাই রাহুল বলেন, “আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা ভাঙ্গুড়া থানায় আসি। কিন্তু তারা পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের মারপিট করেন।”

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host