রাজশাহীর বাঘায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবিতে চাষিরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর এই স্মারকলিপি দেন। জানা গেছে. উপজেলায় ১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাঁটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের বীজ অনেক উচ্চ মূল্যে চাষিরা ক্রয় করে জমিতে বপন করেন।
প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিঘা প্রতি পেঁয়াজ উৎপাদন ৪০-৬০ মণ হচ্ছে। বর্তমান বাজার মূল্যে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ উত্তোলনের একটা ভরা মৌসুম চলছে।
এরপরও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে চাষিরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ না করা হয়, তাহলে চাষিরা বিরাট লোকসানের মুখে পড়বে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবিতে উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে জাকির হোসেন, পলাশী ফতেপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, লিটন আলী, বজলুর রহমান, পাকুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম, সাবাজুল প্রামাণিক, সাইফুল ইসলাম, ফজলুল হক, কলিগ্রামের মহিদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেন।
এ বিষয়ে পেঁয়াজ চাষি জাকির হোসেন বলেন, ৪০ বিঘা জমিতে মুড়িপেঁয়াজ চাষ করেছি। বর্তমান দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হলে পথে বসতে হবে। পেঁয়াজ আমদানি করতে থাকলে চাষিরা আগামী বছর আর পেঁয়াজ চাষ করবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, পেঁয়াজ চাষিরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিবেন।
এফএনএস