পাবনার চাটমোহরে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বোনা আমন ধান ও আগাম সবজি ক্ষেত পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে দ্বিতীয় দফায়ও স্বপ্নভঙ্গ হলো কৃষকের। মোহামারি করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই টানা বর্ষন ও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা হয়েছে। সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় বাজারেও সবজির সংকট দেখা দিয়েছে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুমবিল্লাহ ও মনিরুল ইসলাম, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় ৭ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধান চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যা ও প্রবল বর্ষণের কারণে ৩৩ হেক্টর জমির বীজতলা পানির নিচে ডুবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এলাকাবাসির ধারণা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হবে।
সবজি চাষীদের ক্ষতি পোষাতে ও মনোবল বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে এবং আরো সহযোগিতা করবে বলে জানা গেছে।
উপজেলার অপেক্ষাকৃত বিভিন্ন উঁচু এলাকায় লালশাক, পুইশাক, পালংশাক, ফুলকপি, মরিচ, লাউ, ডাটা, ঝিঙ্গে, মুলা, বেগুনসহ বিভিন্ন শাকসবজি রোপন করা হয়েছিল। কিন্তু পানি বৃদ্ধিতে জমিগুলো ডুবে যায়। ধুলিসাৎ হয় সবজি চাষীদের স্বপ্ন। এছাড়া টানা বৃষ্টি ও বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উচু জমিতে পানি জমে থাকায় রোপা আমন ধান চাষ করতে পারেনি কৃষক।
চাটমোহরের বড়বেলাই, হাসুপুর, হোসেনপুর, বেলঘড়িয়া, বাঘলবাড়ি ও দরাপপুর গ্রামের ধান চাষি অনেকে জানান, বন্যার পানি নামার সাথে সাথে আবারো ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু বন্যা ও বৃষ্টি তাদের পিছু না ছাড়ায় বারবার তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।