দেশ-বিদেশের সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন বছরে সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করার আহ্বান জানান।মঙ্গলবার দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা যায়।
তারেক রহমান তার বাণীতে বলেন, অতীতকে পেছনে ফেলে সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ নতুন বার্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে সমাগত। পুরোনো বছরের ব্যর্থতা, গ্লানি, হতাশাকে ঝেড়ে ফেলে নব উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায় নববর্ষ। নতুনকে বরণ করাই মানুষের সহজাত প্রবণতা। নতুন বছরে আমরা দেশের সামগ্রিক রূপান্তরের একটি পর্বে উপনীত হতে পারবো বলে আশা রাখি। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসুন আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একযোগে কাজ করি। আমরা এমন একটি জাতি নির্মাণের প্রত্যাশা করছি, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিকই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকের কণ্ঠ স্বাধীন থাকবে।
তিনি বলেন, গত বছরটি আমাদের মনে জাগরূক হয়ে থাকবে। বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা, ছাত্র-জনতার আত্মদান এবং অধিকার হারানোর যন্ত্রণা আগামী বৎসরে একদিকে যেমন বেদনার্ত করবে আবার অন্যদিকে নূতন উদ্যোমে শান্তি, সম্প্রীতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনায় আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে।
আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে-জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ শক্তিশালী করা ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে একযোগে কাজ করা। বাংলাদেশে অজস্র রক্ত ঋণে অর্জিত গণতন্ত্রের প্রয়োগ ও অনুশীলনে আমাদের তৎপর হতে হবে। গণবিরোধী পরাজিত শক্তি এতদিন জনগণের সব অধিকারকে বন্দী করে রেখেছিল। এমতাবস্থায় সব গণতান্ত্রিক শক্তির মিলিত প্রচেষ্টায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নববর্ষ সবার জীবনে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা ও নতুন সম্ভাবনা। অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। চিরদিনের জন্য দূর হয়ে যাক সব অন্যায়-উৎপীড়ন আর নির্যাতন।
সূত্র: আমার দেশ