সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্য রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. আলমুতাজিদুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক মিজানুর রহমান মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এসে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন।
রাজশাহী শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর করা লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতি পদে সুলতান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে আনছার আলী নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিন দফায় ছলে বলে কৌশলে এ দুজনই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তারা নির্বাচিত হবার পর থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে শ্রমিক ইউনিয়নের আয়-ব্যয়ের কোনরূপ হিসাব না দিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন। ২০১৩-১৬ পর্যন্ত ৭ কোটি ৯০ লাখ ৭৮ হাজার এবং ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন তারা। উল্লেখিত টাকা উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষ থেকে রাজু আহম্মেদ ও দুলাল হোসেন দুলু শ্রম দপ্তর বরাবর এই আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজশাহী শ্রম অধিদপ্তর একটি চিঠি দেয় অভিযোগকারী বরাবর। এ চিঠির আলোকে সাধারণ শ্রমিকদের পক্ষে মহা-পরিচালক শ্রম অধিদপ্তর ঢাকা বরাবর একটি আবেদন দেন মো. রাজু আহম্মেদ। পরবর্তীতে ঢাকা শ্রম অধিদপ্তর রাজশাহী শ্রম দপ্তরের দুজন সহকারি পরিচালককে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটি আমাদের কথা শুনেছেন এবং তাদের কথাও শুনবেন।
রাজশাহী শ্রম দপ্তরের পরিচালক এস.এম এনামুল হক বলেন, তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের কথা শুনেছেন। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেই সেটা ঢাকা শ্রম অধিদপ্তর বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হবে।