ত্যা মামলায় জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান এ রিমান্ড আদেশ দেন। এদিন ইনুকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক আবু জাফর বিশ্বাস।
অন্যদিকে, আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ইনুর আইনজীবীরা শুনানিতে আদালতকে বলেন, রাজনৈতিক কারণে হাসানুল হক ইনুকে হয়রানি করার জন্য এ মামলায় আসামি করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ মামলায় রিমান্ড না দেওয়ার অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ দেন।
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে বলেন, আসামি ইনু হত্যা মামলায় ৯ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের সময় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তার ভূমিকা ছিল। মামলার সত্য উদঘাটনের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ইনু এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ইনুদের মতো ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের ইন্ধনে শেখ হাসিনা এত বড় গণহত্যা চালিয়েছেন। তাই তার সর্বোচ্চ রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান থানাধীন প্রগতি সরণিতে মো. বাহাদুর হোসেন মনির রাস্তা পার হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা মো. আবু জাফর গুলশান থানায় শেখ হাসিনাসহ ১০৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এফএনএস