পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর উপশাখা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা! তার নাম আলহাজ্ব ফজলুর রহমান। তিনি ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের ঘনিষ্ঠজন। একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে বিশেষ অতিথি করে ইসলামী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের পুরাতন থানার সামনে হাজী শহিদুল ইসলাম টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর ২৬২ তম উপশাখা উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংকের রাজশাহী জোন প্রধান মো. শফিউল আজম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এই উপশাখার উদ্বোধন করেন। এ সময় চাটমোহর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আবুল কালাম সিদ্দিকী,উপশাখা ইনচার্জ আজিজুল হক,প্রিন্সিপাল অফিসার বাছির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব ফজলুর রহমানকে। অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্যও রাখেন। এতে উপস্থিত জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ অতিথিরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। তিনি ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতে ইসলামীর তরবিয়ত সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আলী আজগরকেও বিশেষ অতিথি রাখা হয়। তবে মজলুম এই জামায়াত নেতার নাম রাখা হয় ওই আওয়ামী লীগ নেতার নামের নিচে। অনুষ্ঠানে তাকে জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচয় না দিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বলা হয়। আর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মাওলানা মহির উদ্দিনকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিও রাখা হয়নি। তাকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.মাওলানা মহির উদ্দিন বলেন, অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগের লোকজন বসে আছেন। বিব্রতকর এমন পরিস্থিতিতে আমরা সেখানে সংক্ষিপ্ত কথা সেরেই চলে এসেছি। তাছাডা অনুষ্ঠানে আমাদেরকে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হিসেবে পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়নি । এ ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপশাখা ইনচার্জ আজিজুল হক বলেন, আমি এলাকায় নতুন হওয়ায় কাউকে চিনি না। উনি যে আওয়ামী লীগের নেতা তা আমার জানা ছিল না। সম্ভাবত তাকে বণিক সমিতির সভাপতি হিসেবে অতিথি করা হয়েছে। তাছাড়া সবকিছুই চাটমোহর শাখার ম্যানেজার স্যারের নির্দেশে করা হয়েছে।
চাটমোহর শাখা ম্যানেজার মো. আবুল কালাম সিদ্দিকী বলেন, জোনাল স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী অতিথিদের আমন্ত্রণ ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে বণিক সমিতির সভাপতি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে অন্যভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে আমি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি।