বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পাবনার সাঁথিয়ায় জুলকারনাইনের লাশ সোমবার(২৩ডিসেম্বর) উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের জোড়গাছা-স্বরপ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করেছেন পুলিশ। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুলকার নাইন(১৭)গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,নিহত জুলকার নাইন সাভারের পলাশবাড়ি জে.এল মডেল স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাবনার সাঁথিয়ার নন্দনপুর ইউনিয়নের স্বরপ গ্রামের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আব্দুল হাই আল হাদীর সন্তান ছিল।দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে গত ৫আগষ্ট সাভার আশুলিয়া থানার বাইপাইল পলাশবাড়ীতে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন জুলকারনাইন।বিকেল ৫টার দিকে জুলকারের বন্ধুরা তার বাবার মোবাইল ফোনে জানায় তাঁর ছেলের গলায় গুলি লেগেছে, তাঁকে দ্রুত এনাম হাসপাতালে আসতে বলেন তারা। তার বাবা আব্দুল হাই হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। ওইদিন রাতেই তার মরদেহ সাঁথিয়ায় নিজ বাড়িতে আনা হয়।গত ৬আগষ্ট/২৪ইং সকালে সাঁথিয়ার স্বরপগ্রামে নিজ বাড়িতে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছিল।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)সাইদুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন গত ৫ আগস্ট সাভারে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হলে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তের জন্য শহীদ জুলকারের লাশ উত্তোলণ করে পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।