পাবনার ফরিদপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ হাজার টাকায় রফা দফা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার কয়েকজন গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বিএলবাড়ি দক্ষিণ পাড়া গ্রাম সংলগ্ন রউল বিলে। ভিকটিম দু‘জন দক্ষিণ বিএলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে এলাকার প্রভাবশালীদের চাপে মুখ খুলতে পারছেননা এই দুইটি ভিকটিমের পরিবার। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও ভিকটিমের স্বজনেরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নৌকায় চড়ে বিএলবাড়ি গ্রামের পাশে রউল বিল থেকে শামুক তোলার কথা বলে দুই শিশুকে নিয়ে যায় লম্পট (কবিরাজ) রাকিবুল ইসলাম (২৮)। বিলের মধ্যে নিয়ে সুযোগ বুঝে নৌকা ডুবিয়ে দেয় রাকিবুল। এ সময় ওই শিশুরা সাঁতরিয়ে একটি গাছ ধরে। এই সুযোগে লম্পট রাকিবুল দুই শিশুকে পানির মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিশুরা চিৎকার করতে চাইলে রাকিবুল তার শরীরের ভূত আছে বলে তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখায়। পরে বাড়ি এসে বিষয়টি শিশুরা তার পরিবার কে জানায়। সেইদিন সন্ধ্যায় এলাকার কয়েকজন গ্রাম প্রধান স্থানীয় ইউপি সদস্যের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদসহ এলাকার কয়েকজন গ্রাম প্রধানগণ অভিযুক্তকে মারধর করার পর তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়। অভিযুক্ত রাকিবুল বিএলবাড়ি মুজাহিদপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও এলাকায় সে কবিরাজ বলে পরিচিত।
সালিশ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজু আহমেদ বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তবে অভিযুক্ত রাকিবুল কবিরাজ পলাতক থাকার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিএলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,বিষয়টি তিনি অবগত নন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর থানার ওসি মোঃ মাসুদ রানা বলেন,বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে উভয় শিশুর পরিবারকে আইনগত সহায়তা করবেন বলে তিনি জানান।