‘জামায়াতে ইসলামি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে। এইজন্য ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের ন্যায়বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর প্রয়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন।’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ’যখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা ষড়যন্ত্র করছে। এরপর আরমানকে গুম করলো। তখন গুম হওয়ার আশঙ্কায় আমি জামায়াতের আমীরের পরামর্শে ২০১৬ সালের মে মাসে দেশত্যাগ করি। আমার বাবাকে যখন ফাঁসি দেয়া হয়েছিল, তার জানাযাটা পর্যন্ত আমাকে করতে দেয়া হয়নি। ৮ বছরের বেশি সময় পর আবার দেশে ফিরে বাবার কবর জিয়ারত করলাম।’
নাজিব মোমেন বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার বাবাসহ যাদের হত্যা করা হয়েছে, সেই তথাকথিত বিচারের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে বিচার করতে হবে। কারা কারা জড়িত, কিভাবে তদন্ত করা হয়েছে, কিভাবে স্বাক্ষীগুলো ম্যানেজ করা হয়েছিল। এইগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। আর এই বিচারের দায়িত্ব সরকারের।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ’আমি পদণ্ডপদবিতে বিশ্বাসী না। আমি একজন খাদেম। তবে এলাকাবাসী ও দল চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি।’
দীর্ঘ ৮ বছর পর লন্ডন থেকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান।এরপর শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে প্রথমে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি মোড়ে আসেন। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিশাল বহর নিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর সেখান থেকে ১২টার দিকে বেড়ার সিএন্ডবি গোল চত্ত্বরে পথসভা শেষ সাঁথিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করেন। পরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসব কর্মসূচিতে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সাবেক জেলা আমীর আবদুর রহিম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মো: আব্দুল্লাহ, বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা.আব্দুল বাছেদ, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফএনএস