ভাঙ্গুড়া সংবাদদাতা:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পল্লি বিদ্যুতের আবাসিক সংযোগে চক্রবৃদ্ধি হারে বিল রুপান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর বাজারের একজন গ্রাহকের বিলের ক্ষেত্রে ঘটেছে। গ্রাহকের নাম মাসফিকা তাসনিম। তার মিটার নম্বর ৫০১৪০০৮২৫১৬৮।
মাসফিকা তাসনিম জানান, চলতি মে মাসে চক্রবৃদ্ধি হারে তাকে ৯,০৬৯ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যবহৃত ইউনিট ধরা হয়েছে ৭৯০ এবং প্রথম ধাপের ৭৫ ইউনিট ৫.২৬টাকা,দ্বিতীয় ধাপে ১২৫ ইউনিট ৭.২০টাকা,তৃতীয় ধাপে ১০০ইউনিট ৭.৫৯টাকা,চতুর্থ ধাপে ১০০ ইউনিট ৮.০২ টাকা,পঞ্চম ধাপে ২০০ ইউনিট ১২.৬৭ টাকা এবং ষষ্ঠ ধাপে ১৯০ ইউনিট ১৪.৬১ টাকা হারে প্রতি ইউনিটের বিল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ভাবে ৭৯০ ইউনিটে মোট বিল এসেছে ৮১৬৫টাকা। এর সাথে ডিমান্ড চার্জ ৪৬২ টাকা,ভ্যাট ৪৩২ টাকা,মিটার ভাড়া ১০টাকা যুক্ত করা হয়েছে। ফলে তার মত অনেক গ্রাহকের নাভিশ্বাস উঠেছে।
মাসফিকা আরো বলেন,বিল পিরিওডে বাসায় একটি এসি,দুইটি ফ্রিজ,একটি পানির মটর চলেছে। সাধারণত ২০০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করা হয়। সে তুলনায় একটি এসির বিল ছয় হাজার টাকা কিভাবে হয়,তা বোধগম্য নয়! এছাড়া যে কোনো কোম্পানির নিকট কিছু খরিদ করলে তার পরিমাণ যত বাড়বে রেট তত কমবে কিন্তু পল্লি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে উল্টো ঘটনা ঘটেছে। গ্রামীণ মানুষের আবাসিক ক্ষেত্রে পল্লি বিদ্যুতের এই হার কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় উল্লেখ করে তিনি চক্রবৃদ্ধি হার রহিতকরণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পল্লি বিদ্যুত ভাঙ্গুড়া অফিসের ডিজিএম মো.মোজাম্মেল হক বলেন,সকল বিদ্যুত কোম্পানির ক্ষেত্রে বিলের রেট একই নিয়মে নির্ধারণ করা হয়। তাই তাদের কিছু করার নেই।।