ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : ২০২৪ সালের প্রথম দিনটি আনন্দে কেটেছে শিশুদের। খালি হাতে স্কুলে এসে নতুন মলাটের বই পেয়ে তারা উল্লসিত হয়ে পড়ে। সকাল আটটায় সারিবদ্ধ ভাবে স্কুল আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। কে কার আগে বই নিবে শুরু হয় তার প্রতিযোগিতা। নতুন বইয়ের আশায় অপেক্ষার যেন শেষ নেই। এ বছর কোনো জনপ্রতিনিধি বই উৎসবে ছিলেন না। সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে বই বিতরণ মনিটরিং করেন। বেশির ভাগ স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ সকালেই বই বিতরণ শুরু করেন। ফলে শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়নি। এ জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা অনেক খুশি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আরাফাত হোসেন এর উদ্যোগে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কোথাও শ্রেণি কক্ষে আবার কোথাও স্কুল মাঠে পান্ডেল টানিয়ে বই বিতরণ করতে দেখা যায়।
অবশ্য এবার বই বিতরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের কিছুটা অভাব ছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন স্কুলে কখন যাবেন তার কোনো সিডিউল প্রধান শিক্ষকদের আগে থেকে জানানো হয়নি। সংবাদকর্মীদেরও বই বিতরণের সিডিউল বিষয়ে অবগত করা হয়নি বলে জানা গেছে। একারণে নিকটবর্তী অনেক স্কুল সকালেই বই বিতরণ শুরু করে। মাধ্যমিক স্তরে বই বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয় কোনো আয়োজন না থাকলেও প্রাথমিক স্তরের বই বিতণের জন্য উৎসবের আয়োজন রাখা হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.মামুনার রশিদ অষ্টমণিষা ইউনিয়নে বই বিতরণ মনিটরিং করেন। তিনি নিজে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বই বিতরণ করেন উল্লেখ করে তার ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করেন।
অন্যান্য ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তেমন প্রচারনা চোখে পড়েনি। তবে উপজেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।।