ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এক নারী ও একজন পুরুষের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের একজনের নাম হেলাল উদ্দিন খান(৪০)। তিনি উপজেলার কৈডাঙ্গা নতুনপাড়া গ্রামের তোরাব খাঁর ছেলে। অপরজন হাসি খাতুন(২৮)। তিনি চৌবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী।
দু’টি ঘটনাই রোববার ভোর রাতে ঘটে। পুলিশ জানায়, কয়েকজন মুসল্লি নামাজের উদ্দেশ্যে ভোরে মসজিদে যাবার সময় কৈডাঙ্গা গ্রামের রাস্তার ওপর হেলাল উদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলাল উদ্দিনকে পুর্বের মৃত সনাক্ত করে থানায় একটি মেসেস পাঠান। লাশের মাথার বাম পাশে ও কাঁধে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আলামিন জানিয়েছেন।
জানাযায়,হেলাল উদ্দিন খানের একটি বড় ডেইরি খামার ও কয়েকটি পুকুর রয়েছে। তার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাও (এনজিও) রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৈডাঙ্গা গ্রামের একব্যক্তি জানান, হেলাল উদ্দিন সম্ভবত পারিবারিক বিরোধের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
অপর ঘটনাটি উপজেলার চৌবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের। গৃহবধু হাসি খাতুনের মরদেহ ঘরের ডাবের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল। তার স্বামী আসাদুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোর রাতে ঘুম ভেঙ্গেই তিনি তার স্ত্রীর মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
তদন্ত আফিসার মো.জালাল উদ্দিন বলেন,রোববার সকালে মৃত এক নারী ও একজন পুরুষের লাশ থানায় নিয়ে আসা হয় । প্রাথমিক ভাবে দু’টি মৃত্যুই রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাই লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তত করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,হাসি খাতুনের ১৪ বছরের সংসার কিন্তু তার কোনো সন্তান নেই। এজন্য তার মনে কষ্ট ছিল। তাই এটা আত্নহত্যার ঘটনা বলেই মনে হয়। আর হেলাল উদ্দিন পুর্বেও দুবার স্ট্রোক করেন বলে জানাগেছে। তবে লাশের ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে থানায় দু’টি পৃথক ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে।