আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, সেটি আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) কমিশন সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখতেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে কমিশন। সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল, কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সঙ্গে রফা করেছে। এর মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হলো, নির্বাচন কমিশন সরকারের হয়েই কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে ইসির সমঝোতা হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে৷ ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে ইসি সরকারের ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটাবে। বিএনপি এসব ইভিএম মানে না।সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে, তবে তা হতে হবে ব্যালটে।’
বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভাবছে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘অবৈধ এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাই গেছে বিএনপির। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে দেশের জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জেগে উঠেছে। কিন্তু তিনি কারান্তরীণ হয়ে আছেন।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যারা বলেন, তারা অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন। বরং তারাই সে পথ ধরে নিজেরা আসছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘জনগণের অধিকার হরণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে জবরদখল করে ক্ষমতায় টিকে আছে বর্তমান আওয়ামী লীগ। তারা কথা বলে একরকম, কাজ করে অন্যরকম। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বললেন, সভা-সমাবেশ করতে দেবেন। কিন্তু অন্যদিকে ভোলায় দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো।’
‘বর্তমান সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। সরকার পরিবর্তন না হলে কোনো কমিশনের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’