ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ রেল স্টেশন থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা সেই অসহায় বৃদ্ধকে সমাহিতও করলেন ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু. ফয়সাল বিন আহসান।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরও বৃদ্ধের আত্মীয় স্বজনের সন্ধ্যান মেলেনি। এদিকে বৃদ্ধের অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। ওসি ফয়সাল তার সহকর্মীদের নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধের সুচিকিৎসার সকল ব্যবস্থাই করেছিলেন কিন্তু বিধি বাম,ওই দিন রাতে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। আবারো ওসি ফয়সাল পাবনা আন্জুমান মফিদুল ইসলামের সাথে কথা বলে সেখানেই বৃদ্ধের দাফনের ব্যবস্থা করেন। এর আগে স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে আলাপে তিনি নিশ্চিত হন বৃদ্ধ একজন মুসলিম। আর এ সকল কাজে প্রত্যক্ষ নির্দেশনা প্রদান করেন পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম। পুলিশ যে কতটা মানবিক এবং আমজনতার বন্ধু তা আবার প্রমাণ করলেন ফয়সাল বিন আহসান।
ইতোমধ্যে মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি ও সংবাদ চোখে পড়ে বৃদ্ধের দুই ছেলে শিপন ও রিপনের। তারা ছুটে আসেন ভাঙ্গুড়া থানায়। তখনই জানা যায় বৃদ্ধের পরিচয়। ততক্ষনে বৃদ্ধের দাফন সম্পন্ন হয়ে গেছে। ছেলেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এবার ওসি ফয়সাল তাদের শান্তনা দিলেন। তিনি ওদের কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিলেন। ছেলে দুটো বুধবার পাবনা আন্জুমান মফিদুল ইসলামের কবরস্থানে গিয়ে বাবার জন্য দোয়া করেন।
জানাগেছে, বৃদ্ধের নাম আলম শেখ,বয়স ৬০ বছর। তার বাড়ি সিরাজগ্ঞ্জ জেলার সদর থানার কালিয়াকান্দা পাড়া গ্রামে। বৃদ্ধের ছেলেরা একজন ভ্যান শ্রমিক,অপরজন গার্মেন্টস শ্রমিক। বৃদ্ধ তিন বছর আগে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার ডান পাশাটা অবশ ছিল। বাড়িতে না বলে বের হয়ে অনেকদিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে ভিক্ষাবৃত্তিতে তা জীবিকা চলতো।
উল্লেখ্য,বড়ালব্রিজ স্টেশনে এক বৃদ্ধ অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে, গত ২৬ জুলাই এরকম একটি সংবাদ শোনামাত্র ওসি ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।