পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাধবী বসাক শিমা (২২) নামে এক পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা গৃহবধুকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার কালিবাড়ি মাবোলা হলদারপাড়া মহল্লায়।
বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় মেয়ের বাবা পরিমল বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গৃহবধুর স্বামী সুব্রত হলদার (২৬) কে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মাধবীকে তার স্বামী প্রায়ই অত্যাচার করতো। তুচ্ছ কারণে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। ঘটনারদিন সকালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসে মীমাংসা করে দেওয়ার পরও মাধবীকে তার স্বামী,শাশুরি ও ননদ মিলে আবারো মারপিট করে।
প্রতিবেশিরা বলেন, কয়েকদিন ধরেই মাধবীকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অত্যাচার করছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেঁচামেচি শুনে ওদের বাড়ি গিয়ে দেখি ঘরের মেজেতে মাধবীর লাশ রয়েছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম বলেন, মাধবীকে নির্যাতন করার খবর শুনে বিকালে আমি ওদের বাড়ি যাই এবং বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। আবার সন্ধ্যায় জানতে পারি মেয়েটি আর বেঁচে নেই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তরত চিকিৎসক বলেন, সীমা নামের এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসে ছিল স্বজনেরা। তবে তার গলায় তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহত মাধবীর বাবা পরিমল বসাক কান্না কণ্ঠে বলেন, যৌতুকের দাবিতে মেয়ের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আমার মেয়ের উপর খুবই নির্যাতন করতো। তিনি আরো বলেন, আমরা টাকা দিতে না পারায় মাধবীকে ওরা হত্যা করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. ফয়সাল বিন আহসান ঘটনার সত্যা স্বীকার করে বলেন, গৃহবধুর বাবা বাদি হয়ে বুধবার থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মাধবীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।