ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) অফিস কক্ষে প্রবেশ করে শাহিদুল ইসলাম নিজেকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। পরিচালককে একজনের বদলির তদবির করতে চিরকুট দেন। পরিচালক (প্রশাসন) তাকে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চলছে এবং চলবে বলে জানান। এরপর বিভিন্ন সময় শাহিনুল তাকে ফোন করে বদলির বিষয়ে জোরাজুরি করেন। সেই সময় পরিচালক (প্রশাসন) তাকে সীমা লঙ্ঘন করতে নিষেধ করেন এবং অফিসিয়াল বিষয়ে অযাচিত ফোন না করার জন্য বলেন।
শহিদুল ইসলাম সোমবার ফের শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) অফিস কক্ষে প্রবেশ করে পুনরায় নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। তখন পরিচালক (প্রশাসন) তাকে ওই গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে না পারায় সন্দেহ হয়।
মো: মিজানুর রহমান যুগ্ন সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন)বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শহিদুল ইসলাম নামের কোনো ব্যক্তি পরিচয় দানকারী গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পদে নেই। এরপর মিরপুর মডেল থানায় বিষয়টি জানানো হলে টহল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি মোবাইল ফোন, বদলি সংক্রান্ত আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।