পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন পুলিশ,উপজেলা প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ,মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণ ও জনসাধারণকে অযথা ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বেরত রাখতে তারা সদা তৎপর রয়েছেন। এ লক্ষে ১ জুলাই থেকে মাঠে রয়েছেন তারা। এসময় বিধিনিষেধ উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মোবাইল কোর্টে তাদের অর্থদন্ড দেওয়া হচ্ছে। এদের সমš^য়ে নিয়মিত ভাবে মাঠে টহল দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,আইন শৃংখলা রক্ষাকারী ও সামরিক বাহিনী সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: কাওছার হাবীব এই দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করছেন মোবাইল কোর্ট। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মু. ফয়সাল বিন আহসানসহ পুলিশ সদস্যরা মাঠে থেকে সক্রিয় ভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের।
এছাড়া লকডাউন কার্যকরে উপজেলা শহর তথা ভাঙ্গুড়া পৌরসভায় বিশেষ ভাবে তদারকি করছেন পৌর পিতা গোলাম হাসনাইন রাসেল। তিনি প্রথম থেকেই পৌরসভার অধিবাসীদের নানা ভাবে সচেতনায়নের কাজ করে যাচ্ছেন। পৌরসভার আটটি প্রবেশ দ্বারে চেক পোস্ট স্থাপন করে সেখানে ¯ে^চ্ছাবক বসিয়ে শহরে আগতদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করানো ও বাইরের যানবাহন ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেন। আর প্রতিটি কাজ তিনি নিজে মাঠে নেমে তদারকি করছেন।
এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধায়ার জন্য পানির ট্যাংক স্থাপন ও সাবান রাখার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি স্বল্প আয় ও শ্রমজীবী মানুষকে বিনামুল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার প্রদান করেন। পৌরবাসীর সচেতনায়নের জন্য মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল মাইকিং করে জানান দেন যে,যারাই জ্বর,সর্দি-কাশি ও ঠান্ডাজনিত অসুখে ভুগবেন তৎক্ষনাৎ উপজেলা ¯ভাঙ্গুড়ায় কঠোর বিধিনিষেধ: করোনা সংক্রমণ রোধে মাঠে নিরলস কাজ করছেন প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অষুধ সেবন করবেন।
মেয়রের এসব পদক্ষেপ ও নির্দেশনা ইতিবাচক হওয়ায় জনসাধারণ তা স্বানন্দে গ্রহন করেন এবং সে মোতাবেক কাজ করায় পৌরসভায় এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের হার সীমিত পর্যায়েই রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সমন্বয়ে প্রচার প্রচারণার কাজটিও অনেকটাই ফলপ্রসু হয়েছে। পুর্বে যারা একবারেই মাস্ক পড়তেন না তারাও এখন মাস্ক পড়ছেন। এমনকি সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো: বাকি বিল্লাহ’র নেতৃত্বে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ র্যালিসহ নানা সচেতনমুলক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি তারা ব্যক্তি উদ্যোগেও মাস্ক,সাবান ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান,উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)মো: কাওছার হাবীব ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকতার্দের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নানা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তাদের সঙ্গে মাঠে রয়েছেন সাংবাদিক,সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করছেন। অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে করোনা টেস্টে। তবে গ্রামের সাধারণ মানুষ সর্দি-জ্বরকে সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তারা পনমুনা পরীক্ষা করাতে চাননা। অবশ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: হালিমা খানম ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নমুনা টেস্টের ব্যবস্থা করায় আক্রান্ত চিহ্নিতকরণে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
এ উপজেলার করোনা টেস্টের সোমবারের (৫ জুলাই) প্রতিবেদনে ২২জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জানিয়েছেন।