ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
শনিবার ভাঙ্গুড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় ১০টি মামলায় দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ ডিডিএন নিউজকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন শনিবার (৩ জুলাই) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরে টহলে ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশ । এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান এবং এসি ল্যান্ড মো: কাওছার হাবীব এর নেতৃত্বে দুটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় পুলিশ বিধিনিষেধ আমান্যকারী কয়েকজন দোকানি ও মটর সাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০টি মামলা উপস্থাপন করলে বিচারকগণ অভিযুক্তদের বিরদ্ধে অর্থ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
পুলিশ জানায়,দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৬৯/১৮৮ ধারায় ভ্রাম্যমান আদালত কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষাকারীদের ১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মু: ফয়সাল বিন আহসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লকডাউনে অপ্রয়োজনীয় দোকান খুলে রাখা ও মটরসাইকেল নিয়ে অযথা ঘরের বাহির হওয়ার শাস্তি স্বরুপ আদালত ওই দন্ডাদেশ দেন। তবে জরিমানার অর্থ আদায়ের পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় পৌরসভায় কাউকেই মাস্কবিহীন অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তাই মাস্ক না পড়ার কারণে জরিমানা করা যায়নি। কিছু অপ্রযোজনীয় দোকান খোলা রাখায় দোকানিদের এবং প্রয়োজন ছাড়া মটরসাইকেলে ঘোরাঘুড়ি করায় চালকদের অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই অভিযান ৭ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য , ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল পৌরসভার প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে চেক পোস্ট বসিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখায় এবং মাস্ক ব্যতিত কাউকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় পৌরশহরে মাস্ক পরিহিত লোকের সংখ্যা এখন শতভাগে উপনীত হয়েছে।
এদিকে এখানে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। শনিবার উপজেলা স্বস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ২৯জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে নতুন ১২জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই নিয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৮৩ ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেন।