1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন

সালিশে বিয়ে করা কিশোরী তালাক দিল ইউপি চেয়ারম্যানকে

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১
  • ১৯৫ সময় দর্শন

সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে দেখে পছন্দ হওয়ায় তাৎক্ষণিক বিয়ে করা সেই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দিয়েছেন নবম শ্রেণির সেই কিশোরী।

শনিবার (২৬ জুন) রাতে তালাকের বিষয়টি কিশোরীর বাবা নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের বাসিন্দা মো. রমজান (২৫) একই ইউনিয়নের চুনারপুল এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি মেয়েটির বাবা। তিনি বিষয়টি কনকদিয়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে জানান। পরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই যুবক ও কিশোরীর বিয়ে দেওয়ার কথা বলে কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টায় দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। চেয়ারম্যান সালিসে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায়। পরে তিনি ওই কিশোরীকে (১৫) বিয়ে করেন।

ওই কিশোরী বলেন, চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করতে। কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাঁকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, সালিস বৈঠকে মেয়ের বাবা কোনোভাবেই মেয়ের পছন্দের ছেলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। তাই কাজি ডেকে বিয়ে করেছিলাম। কোনো প্রভাব কিংবা জোর করিনি। যেহেতু মেয়ে বিয়েটা ভালোভাবে মেনে নিচ্ছিল না। তাই যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তাঁর মাধ্যমে আজ (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি আমাকে তালাক দিয়েছে এবং তাকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দিয়েছি।

স্থানীয় লোকজন ও মেয়েটির পরিবারের ভাষ্য, কাজি ডেকে শুক্রবার দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে থাকা জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ বলছে, মেয়েটির জন্ম ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল। বিয়ের পর মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তবে বাড়িতে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা ছিলেন না।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার কিশোরীর প্রেমিক তরুণটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। অচেতন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফিরোজ আলম।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন তরুণ বলেন, ওকে আমার কাছে এনে দেন। আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host