মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেছেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভাকে তিলোত্তমা শহর হিসাবে গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় তিান এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মেয়র আরো বলেন করোনার কারণে খরচ বেড়েছে কিন্তু আয় বাড়েনি । তারপরও বাজেটে নতুন করে কোনো কর আরোপ করা হয়নি।
তিনি জানান এবছর পৌরসভার অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আধুনিকায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবকটি রাস্তা আলোকিতকরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া কয়েকটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি বেজে স্বয়ংক্রিয় সুপেয় পানি সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে রাস্তা নির্মাণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো: মকবুল হোসেনের নির্দেশনা ও সহায়তায় ইতোমধ্যে সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে বড়ালের ধারে নির্মাণ করা হয়েছে অটো রিক্সা স্ট্যান্ড ও ‘ক্ঞ্জু পবন’ নামের একটি বিনোদন পার্ক। এখানে স্ট্যান্ড নির্মাণের ফলে পৌরসভার শরৎনগর বাজারের যানজট অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। উপজেলা হেল্থ কমপ্লেক্সের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক ‘শিশু ক্ঞ্জু’ নামের দর্শনীয় বিনোদন পার্ক। বড়ালব্রিজ খেলার মাঠের পাশে হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা মাদ্রসার নিকট নির্মিত হচ্ছে আরো একটি বিনোদন পার্ক। এতে করে পৌরসভার নারী-পুরূষ ও শিশুরা সহজেই বিনোদনের সুযোগ পাবেন।
বক্তৃতা শেষে মেয়র রাসেল পৌরসভার ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করেন। স্বাস্থ্য বিধি অণুসরণসহ স্বল্প পরিসরে পৌর মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ২১ কোটি ৮০ লাখ ১২ হাজার টাকার একটি বাজেট তিনি পেশ করেন। এ বাজেটে প্রস্তাবিত উন্নয়ন আয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং রাজ¯^ আয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার টাকা।
রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮১ হাজার ১৪৮ টাকা এবং উন্নয়ন ও প্রকল্প খাতে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল। তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন,দু’একটি রাস্তা ভারী বর্ষণ ও গাড়ির চাপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো সংস্কারের কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। শরৎনগর হাটের দিন যানজট কমাতে কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন,স্বেচ্ছা শ্রমে কিছু যুবক ট্রাফিকের সার্ভিস দিচ্ছে। অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে পৌরসভার তহবিলে সব কিছুই করা হবে।
তিনি বলেন মহামারী করোনা আমাদের গতি প্রায় থামিয়ে দিয়েছে। তাই পৌরসভার অধিবাসীদের জীবন রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।পৌরসভার প্রবেশ পথে চেক পোস্ট বসিয়ে বাজারে আগত প্রতিটি ব্যক্তির হাত ধোয়া ও মাস্ক সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার স্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় সরকারের সকল নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করছি। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে ভাঙ্গুড়া পৌরসভা পরিণত হবে দেশের অন্যতম মডেল শহরে। যেখানে নাগরিকরা সকল আধুনিক সুবিধা ভোগ করবেন ইনশাল্লাহ।
পৌরসভার বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব-উল-আলম,রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি আব্দুল খালেক ও বিকাশ কুমার চন্দ,অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ বদরুল আলম। এ সময় যুবনেতা ইবনুল হাসান শাকিল, প্যানেল মেয়র বরাত আলী, কাউন্সিলরবৃন্দ, পৌর সচিব উত্তম কুমার শাহা,হিসাব রক্ষক নাজমুল হুদা,মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি প্রভাষক গিয়াস উদ্দিন, দৈনিক বাংলাদেশ সময় প্রতিনিধি রায়হান আলী,দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি মাসুদ রানা,দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিনু খান,খোলা কাগজের প্রতিনিধি মানিক হোসেন,দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি শাহাবুল ইসলাম পিপুল,সাংবাদিক আব্দুল আজিজ প্রমুখ মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান হাসান আরিফ।