ভাঙ্গুড়া(পাবনা):প্রতিনিধি:
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সংঘটিত হয়। ঘটনার রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙ্গুড়া থানায় একটি জিডি করেছেন।
জানাগেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দিয়ে তার সরকারি ফোন থেকে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের নিকট ল্যাপটপ বরাদ্দের কথা বলে চাঁদা দাবি করা হয়। এজন্য এয়ারটেলের একটি বিকাশ নম্বর ( ০১৬৩৭-৬৮৮০৮৫) সরবরাহ করা হয়। এরকম প্রথম ফোনটি পান ভাঙ্গুড়া বিএম কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল আলম। তার কাছে নয় হাজার টাকা বিকাশ চাওয়া হয়। পরে দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও দহপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকটও একই ভাবে ফোন দিয়ে বিকাশে টাকা পেমেন্ট দিতে বলা হয়। বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করায় প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ইউএনও’র সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন তিনি কাউকেই ফোন দেননি। এছাড়া ল্যাপটপ দেওয়ার কোন ম্যাসেজও তার কাছে নেই।
অধ্যক্ষ মো: বদরুল আলম বলেন, ফোনটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি জানাই এবং তার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই এটা প্রতারক চক্রের কাজ।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা ¯^ীকার করে বলেন,প্রতারকরা ইউএনও’র ফোন ক্লোন করে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। তবে ইউএনও রাতেই থানায় এ ব্যাপারে একটি জিডি করেছেন। পুলিশ ফোনটি ট্র্যাকিং করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন প্রধান ওই ফোন পাওয়ার পর আমার কন্ঠ নয় বুঝতে পেরে তাদের সন্দেহ হয়। এর পরই তারা ফোন দিয়ে আমাকে বিষয়টি জানান। তবে কেউই প্রতারকদের ফাঁদে পা দেননি। তিনি এ ব্যাপারে উপজেলার সংশ্লিষ্ট সকলকে এই প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন।।