এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব।মন্দা দেখা দিয়েছে অর্থনীতির।কিন্তু এই মহামারিকালেও বাংলাদেশের রিজার্ভ একের পর একের রেকর্ড গড়ে চলেছে, যা অবিস্মরণীয়।আর এটি সম্ভব হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে।করোনার সময় প্রবাসীরা শত শত কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন দেশে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই মহামারিকালেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে যাচ্ছে।যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।এই রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে রপ্তানি আয়ের ধারা এবং বিদেশি ঋণ সহায়তা বৃদ্ধিও। বুধবার কর্মদিবস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।সে হিসাবে বাংলাদেশের ৪৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের এই রিজার্ভ দিয়ে (প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার হিসেবে) ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ২৭ দিনে প্রবাসীরা দেশে ১.৮ বিলিয়ন (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮০ কোটি টাকা) রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত- এই ৯ মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। খোদ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রবাসীদের ধন্যবাদ এ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।আগামী দু-একদিনের মধ্যেই রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।