1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ দরকার: তৌহিদ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে : জোনায়েদ সাকি বেনাপোলে শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতের আমির: কবর জিয়ারত ক্ষমতা নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের সমর্থন চান জামায়াত আমির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা জার্মান প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন এক কার্গো এলএনজি ও এক লাখ ৩০ হাজার টন সার সংগ্রহ করবে সরকার সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নাশকতাকারীরা কোনভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির

আজ থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ২০২ সময় দর্শন

আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে রাজশাহীতে খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তে আড়তে গিয়ে এ কথা জানিয়ে এসেছেন। রাজশাহীতে এবার প্রথম থেকেই তরমুজের দাম চড়া।

সোমবার সকালে নগরীর শালবাগানে তরমুজের আড়তগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, এখানে পাইকারীতে দুই হাজার টাকা মণ দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা তা কিনে নিয়ে গিয়ে বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন।

রাজশাহীর আড়তে তরমুজ আসে বরগুনা, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে।

বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না।

সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চাহিদা থাকায় সিণ্ডিকেট করে তরমুজের দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বাজারে নামেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার ও কৌশিক আহমেদ। তাদের সঙ্গে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনও ছিলেন।

গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা নগরীর শালবাগানে তরমুজের আড়তগুলোতে যান। তাদের দেখে কোন কোন আড়ৎদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান। তবে কর্মকর্তারা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারে গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়ত মালিকদের ডাকেন। তারপর জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।

তাই আজ বুধবার থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। পিস হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

এ সময় মামা-ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারের মালিক শাহিন হোসেন কালু বলেন, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা তরমুজ এই আড়তে আনেন তাদেরকেও কেজিদরে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। তাই এটি বাস্তবায়ন করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।

আড়ৎদারেরা বলেন, কেজিদরেই তরমুজ বিক্রি করলে যে দাম কমবে ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাদেরকে যদি কেজিদরেই বিক্রি করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে একটু সময় নিয়ে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন।

তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, তার মানে বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল এবং আছে। কিন্তু আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেননি ইচ্ছেকরেই। এরপর জেলা প্রশাসনের দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর শিরোইল ও ভদ্রা এলাকার কয়েকটি আড়তে গিয়ে একই ঘোষণা দিয়ে আসেন।

এ দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার থেকে যদি খুচরা কিংবা পাইকারী বাজারে কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই এখন থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে।

একসময় রাজশাহী-নাটোরে প্রচুর তরমুজ উৎপাদন হতো। দিনে দিনে তরমুজের আবাদ কমে এসেছে। রাজশাহীতে এ বছর মাত্র ১৯ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। জেলার চাহিদা মেটাতে বাইরের থেকে তরমুজ আসে বলে বাজার থাকে আড়ৎদারদের নিয়ন্ত্রণে। চাহিদা বেশি থাকলেই তারা দাম বাড়িয়ে দেন। এতে মধ্যস্বত্ত্বভোগী এসব আড়ৎদারেরাই লাভবান হয়ে থাকেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host