ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার(২৫মার্চ) রাতে ৮৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইউনিয়ন পরিষদের স্টোররুম থেকে ওই চালগুলো স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান,দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের রফিজ মন্ডলের ছেলে খোকন ও হাটউধুনিয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে বাবুল আক্তার বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদের কাছ থেকে ওই চাল ক্রয় করেন। পরে বস্তা পরিবর্তন করে একটি ট্রলিতে লোড দিয়ে হাটঊধুনিয়া বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন বাধা দেন । উপায় না দেখে ট্রলির চালক চালের বস্তাগুলো শ্মশান ঘাটের নিকট রাস্তার উপর ফেলে রেখে সটকে পড়েন। তখন সন্ধ্যা প্রায় ছয়টা বাজে। এলাকাবাসী রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এসআই নাজমুল ফোর্স নিয়ে রাত ৯টায় ঘটনাস্থল পৌঁছেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ৮৫(১শ২৭মন) বস্তা চাল উদ্ধার করেছে।
সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: কাওছার হাবীব বলেন,কেউ চালের মালিকানা দাবি না করায় বস্তাগুলো উদ্ধার করে রাতেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সীলগালা করে রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন,তদন্ত করে ভিজিডি’র চাল প্রমান মিললে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিলপাশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ পরিষদের স্টোর থেকে চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন,গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার সুবিধা ভোগীদের মাঝে ভিজিডি চাল বিতরণ করা হয়। তারাই এই চালগুলো বিক্রি করে থাকতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,ইউনিয়নের কোনো মেম্বর বা আমি কখনই পরিষদের স্টোররুম থেকে অবৈধ ভাবে সরকারি চাল বের হতে দেইনি।
এই চাল প্রনো চেয়ারম্যান এর ভাই তরুন ঘোষ বিক্রি করে,চেয়ারম্যান ভাইকে দিয়ে এ কাজ করায় গ্রামবাসি সেটা জানে,সে যেহেতু একজন সন্রাসী তাই কেউ সাহস করতে ভয় পায়।