ডিডি এন নিউজ ডেস্ক : শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকায় অনলাইনের ক্লাস ফলপ্রসূ হচ্ছে না। গ্রামের স্কুলগুলো অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারছে না। এ কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে অনেকে পরবর্তী শ্রেণিতে উর্ত্তীণের জন্য অটোপাশের দাবিও তুলেছিল। দুই-একটি গণমাধ্যমে অটোপাশের সুযোগ আছে বলে রিপোর্টও প্রকাশ করেছিল। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বোর্ডের বক্তব্য অটোপাশের সুযোগ নেই।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, এক শ্রেণি থেকে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণের জন্য অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। কোনো প্রকার মূল্যায়ন ছাড়া পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সুযোগ নেই। আবার শিক্ষার্থী মূল্যায়নে বড় আকারে বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতাও নেই। কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে এই সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় আকারের পরীক্ষা ছাড়াও মূল্যায়নের নানা পদ্ধতি রয়েছে। কোন শ্রেণিতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় শিক্ষার্থী কত নম্বর পেয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষায় নম্বর দিতে পারেন। শুধু লিখিত পরীক্ষা নয়, মৌখিক পরীক্ষাও হতে পারে।
বিদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় গ্রেড নম্বর দেওয়া যায়। যদি কোনো শিক্ষার্থী মনে করে তার প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে সে বেশি নম্বর/গ্রেড পেত। তাহলে পরবর্তী সময়ে কোনো একসময় সে পরীক্ষা দিতে পারবে।
তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে প্রথম সাময়িকী পরীক্ষাও অনুষ্ঠান করতে না পাড়ায় কোন নিয়মে প্রমোশন দেওয়া যায় তা উপযুক্ত কতৃৃপক্ষকেই ঠিক করতে হবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।