1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ সন্তানের ব্যক্তিত্ব বৈকল্যতার কারণ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ১৯৫ সময় দর্শন

অনলাইন ডেস্ক : ‘ব্যক্তিত্ব বৈকল্যতা’ অথবা ‘পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার’ এমন একটি মানসিক অবস্থা যা নিজের জীবনে বড় ধরণের সঙ্কট তৈরি করে। এরা অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন ও আবেগী হতে পারে। এই সন্তানেরা মাদক ও সমাজ-বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

নতুন এক গবেষণা বলছে, ‘কোন নারী যদি গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন, ঐ সন্তান ৩০ বছর বয়সের পৌঁছুনোর আগেই ‘পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার’ বা ‘ব্যক্তিত্ব বৈকল্যে’ আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ গুণ বেশি হতে পারে। এমনকি গর্ভাবস্থায় মাঝারি মাত্রার মানসিক চাপ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয়, তাহলেও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’

সম্প্রতি ফিনল্যান্ডে ৩,৬০০ গর্ভবতী নারী ও তাদের সন্তানদের উপর এই গবেষণাটি চালানো হয়। গবেষণায় ৩,৬০০ গর্ভবতী নারীকে তাদের গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মাসে কিছু প্রশ্ন করে তাদের মানসিক চাপের মাত্রা নিরূপণ করা হয়। পরে তাদের সন্তান জন্ম নেওয়ার পর, ঐ সন্তানদের মানসিক বিকাশের ওপর নজর রাখা হয়।

এতে দেখা যায়, ‘গর্ভবতী মায়ের মানসিক অবস্থার পরিণতি ভোগ করতে হয় তার সন্তানকেও। ঐ সন্তানদের বয়স তিরিশে পৌঁছুনোর পর দেখা যায় তাদের ৪০ জনের মধ্যে মারাত্মক ব্যক্তিত্বের সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।’

গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে মনোবিজ্ঞান বিষয়ক বিখ্যাত সাময়িকী ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকিয়াট্রি’তে। এতে মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘গর্ভবতী নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত। কীভাবে সন্তানকে বড় করা হয়, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা কী, শিশু বয়সে সে কোন সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হয়েছিল কিনা – এগুলোও সন্তানের ব্যক্তিত্বের ওপর খুবই প্রভাব ফেলে।’

গর্ভাবস্থায় ও সন্তান জন্মদানের পরে বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য ও পরিবর্তনের ফলে নারীদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এই সময় সবচেয়ে মায়েদের তাদের স্বামী ও পরিবারের সহযোগিতা পাওয়া উচিত। নতুন মায়েরা যদি কোন কারণে রাগারাগি করে তাহলে তার সঙ্গে হেসে কথা বলুন ও ভালো ব্যবহার করুন। কোন অবস্থাতেই তাদের প্রতি রুঢ় আচরণ করবেন না।

অনেক সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না সেক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে নিজে অন্যকাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। এই সময় স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি কম মনযোগ দেয় এবং কারণে অকারণে রাগারাগি বা ঝগড়াঝাটি করে তাহলে স্ত্রীর সন্দেহ প্রবণতা আরও বেড়ে যাবে। তাই মা ও শিশুর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে স্ত্রীর প্রতি ইতিবাচক আচরণ করুন ও নিজের পরিবারের যত্ন নিন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host