ভালবাসা দিবসের কবল থেকে রক্ষা করতে এক অন্যরকম ভালবাসা প্রদর্শন করে নিজ হাতের পরিচর্চ্চায় গড়ে তোলা উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের বাগানের ফুল পাহারা দিচ্ছেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ভুট্টো কলেজের একজন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনমাস আগে তিনি কলেজের বাগান পরির্চ্চার জন্যে মালীর দায়িত্ব পেয়েছেন। ফুলের প্রতি তার প্রগাঢ় ভালবাসা। অনেক কষ্ঠ করে করোনার মধ্যে তিনি কলেজের ফুল বাগান দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলেছেন। বাগানে শোভা পাচ্ছে গোলাপ, গাদা, চন্দ্রমলিকা, টগর, জবাসহ নানা ধরনের ফুল। ভুট্টো জানান, ঘরে আমার অভাব। আমি কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারী। সামান্য বেতনে আমার সংসার চলে অতি কষ্টে। তবু আমি ফুল ভালবাসী। ফুলের বাগানে যখন কাজ করি তখন সংসারের অভাব অনটনের কথা ভূলে যাই। করোনার মধ্যে দর্শনার্থীরা ফুলের বাগান দেখতে আসেন, ভালবাসার মানুষকে সঙ্গে করে ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। তখন আমার ভাল লাগে। মনে হয় আমার কষ্ঠ সফল হয়েছে। কিন্তু যখন দেখি চুরি করে বাগানের গোলাপ ছিড়ে তা ভালবাসার সঙ্গীর খোঁপায় গেঁথে দেয়। তখন আমার কান্না পায়, চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। মনে হয় তাদের জন্য ভালবাসা হলেও আমার জন্যে এটা বিষাদ।
আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস। উঠতি বয়সের প্রেমিকরা ফুল চুরি করে প্রেমিকাকে উপহার দিবেন। তারা সুযোগ পেলে কলেজের বাগানের ফুল চুরি করবেন। তাই গত ৩দিন ধরে দিবারাত আমি বাগানের ফুল পাহারা দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন যদি কোন প্রেমিকের ফুল কেনার পয়সা না থাকে। তবে আমি জানতে পারলে গোপনে আমার বেতনের টাকা দিয়ে তার ফুল কিনে দেব। যাতে করে সে তার প্রিয়াকে ফুল উপহার দিবে পারেন। তবু যেন আমার বাগানের ফুল যেন তারা না ছেড়েন। ফুল গাছেই বেশী সুন্দর ও জীবন্ত লাগে।