অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ চীন সাগরে গত সপ্তাহে চীনা যুদ্ধবিমান চলাচলের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, এসব সামরিক ফ্লাইট ওই অঞ্চলে তাদের বিমানবাহী রণতরীর জন্য কোনও হুমকি তৈরি করেনি। কিন্তু এটি অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করা এবং বেইজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিফলন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার মূল্যের পণ্য পরিবহন হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এই অঞ্চলটি। বিশেষ করে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি চীনকে ক্ষুব্ধ করেছে। এছাড়া তাইওয়ান নিয়েও উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, থিওডোর রুজেভেল্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নিবিড়ভাবে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি নেভি (নৌবাহিনী) ও বিমান বাহিনীর কর্মকাণ্ডে নজর রেখেছে। এক মুহূর্তও তারা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য হুমকি তৈরি করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চীনা বিমান মার্কিন নৌযানের ২৫০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে আসেনি।
দক্ষিণ চীন সমুদ্রের পুরো এলাকায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবি করে চীন। গত কয়েক বছরে এই এলাকায় নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করছে বেইজিং।