শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ডিজি’র প্রকল্প পরিদর্শন ভাঙ্গুড়ায় পশু-পাখির হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে চিকিৎসকরা মাঠে ভাঙ্গুড়ায় ভুমি অফিসের অনলাইন কার্যক্রমে হযরানি কমেছে,নামজারি নিষ্পত্তি তরান্বিত ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে ইউএনও ভাঙ্গুড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্রীড়া শিক্ষকের বাড়ি ভষ্মিভুত! ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি ভাঙ্গুড়ায় প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে ক্লাস করছে প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা ! অস্বস্তিতে ছাত্র-শিক্ষক প্রশংসনীয় উদ্যোগ- ভাঙ্গুড়ায় তাপদাহে পিপাসার্ত মানুষকে আনসার কমান্ডারের পানীয় সেবা অস্বাভাবিক গরমেও খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক ভাঙ্গুড়ায় দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ী সর্বজনীন পেনশন স্কিম- ভাঙ্গুড়ায় ৪ মাসে একাউন্ট ওপেন হয়েছে মাত্র ১৪২

বিধর্মী হত্যা করে বিধর্মীদের দেশেই আশ্রয় নেয় জিহাদীরা : তসলিমা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৪৩৩ সময় দর্শন
  • Print This Post Print This Post

উদারতার সীমা থাকা উচিত। জিহাদি মেয়েদের সিরিয়ার  আইসিস ক্যাম্প থেকে জার্মানি আর ফিনল্যান্ড নিয়ে আসা হয়েছে। অসভ্যদের সভ্য জায়গায় স্থানান্তরিত। ভালো কাজ হতো যদি এদের মগজ থেকে জিহাদি ভাবনা দূর হতো। কিন্তু তা তো হয়নি। এই মেয়েরাও জিহাদি জঙ্গি। মনে আছে শামীমার কথা, ১৫ বছর বয়সে লণ্ডন থেকে চলে এসেছিল সিরিয়ায় আইসিসের খাতায় নাম লেখাতে, জিহাদি পুরুষদের যৌন সঙ্গী হতে, যেন যৌন জীবনে তৃপ্ত হয়ে পুরুষগুলো ঠাণ্ডা মাথায় জিহাদ করতে পারে, ধ্বংস করতে পারে প্রাচীন স্থাপত্য, বিধর্মীদের  মুণ্ডু কেটে নিতে পারে।

শামীমা বলেছিল সে এইসব বিধর্মী হত্যায় বিশ্বাস করে, এবং  রাস্তার ডাস্টবিনে বিধর্মীদের  কাটা মুণ্ডু দেখতে তার এতটুকু খারাপ লাগে না, বরং ভালো লাগে, কারণ আল্লাহ  বলেছেন  বিধর্মীদের হত্যা করতে।  সেই শামীমা আইসিসের পতনের পর লন্ডনে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে, তাকে ফেরানোর জন্য কত যে মানবাধিকার কর্মী লড়ছেন। আমি বুঝি না জিহাদি পুরুষ এবং নারীতে পার্থক্য কোথায়? কোনো জিহাদি নারীকে অস্ত্র হাতে খুন করতে দেখা যায়নি বলে? কিন্তু ওরা তো খুন করতে জানে, ওরা মগজ ধোলাই করতেও জানে। তাহলে ওদের ক্ষতিকর মনে করা হচ্ছে না কেন? এত জিহাদি সন্ত্রাসের  শিকার হয়েও ইউরোপের শিক্ষা হয়নি।

বেলজিয়ামই একমাত্র দেশ- জিহাদি মেয়েদের ঘরে ফেরাতে রাজি হয়নি। জার্মানি বোধহয় মানবাধিকারের ক্ষেত্রে  বিশ্বের এক নম্বর হওয়ার পণ করেছে। ১০ লক্ষ সিরিয়ার শরণার্থীকে তো আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। ভেবেছিল এরা বুঝি আইসিসের ভয়ে পালিয়েছে। একেবারেই না, আইসিসের অত্যাচারের বদলে তারা সিরিয়ার সরকারের অত্যাচারের কথা বলেছে। আইসিসকে বরং অধিকাংশই  সমর্থন করেছে। ইউরোপে জিহাদি হামলা শেষ হবে না মোটেও, চলতেই থাকবে। ইউরোপকে আর নিরাপদ জায়গা বলে মনে করার কারণও নেই কোনো।

বিধর্মী হত্যার  জিহাদে অংশ নিয়েও আবার বিধর্মীদের দেশে ফেরত আসা যায়। এটি মানুষকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে জিহাদি হতে। কিছুই তো হারাবার নেই। শাস্তিও নেই কোনো। সবচেয়ে ভালো হতো এই জিহাদিগুলো যদি ক্যাম্পেই থেকে যেত।

-তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন - রায়তা-হোস্ট সহযোগিতায় : SmartiTHost
smartit-ddnnewsbd