1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

ভারত ও চীনের মধ্যে যদি পারমাণবিক যুদ্ধ হয়, ধ্বংস হবে গোটা পৃথিবী

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৩৮৬ সময় দর্শন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও চীনের মধ্যে যদি পারমাণবিক যুদ্ধ হয়, তবে তা এশিয়ার জন্য সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল আন্দোলিত হবে। উভয়পক্ষে মারা যাবে হাজার হাজার মানুষ। ধ্বংস হতে পারে গোটা পৃথিবী।

এ যুদ্ধ হতে পারে সবচেয়ে খারাপ, নৃশংস তবে স্বল্পমেয়াদি। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ভয়াবহ এক ক্ষতি হতে পারে। ক্ষমতার ভারসাম্য ও ভৌগোলিক বিষয়াদির পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা যায়, দুই দেশ ঠুনকো কারণে যুদ্ধে জড়াবে না। তারা এটা বুঝতে পেরেছে। এ জন্যই ৫০ বছরের বেশি সময় দেশ দুটি যুদ্ধে জড়ায়নি।অনলাইন ন্যাশনাল ইন্টারেস্টে শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন কিলি মিজোকামি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশই ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ বা আগে হামলা চালানোর নীতি গ্রহণ করে না। ফলে এক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা কম। উভয় দেশেরই জনসংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিটি দেশেরই কমপক্ষে ১৩০ কোটির বেশি মানুষ। আধুনিক সব যুদ্ধের মতো, ভারত ও চীনের মধ্যে যদি যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে সেই যুদ্ধ সর্বোত উপায়ে হবে। এক্ষেত্রে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে লড়াই হবে।

তবে ভৌগোলিক অর্থাৎ ভূপ্রকৃতির গঠনের কারণে স্থলপথের যুদ্ধ হবে সীমিত। মূল যুদ্ধ হবে আকাশপথে। এক্ষেত্রে দুই দেশই যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এমনটা হলে তা দু’দেশের জন্যই হবে ভয়াবহ ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ভারতের জন্য সমুদ্রপথে লড়াই হতে পারে একটি ট্রাম্পকার্ড। কারণ, সমুদ্র অঞ্চলে ভারতের রয়েছে একক আধিপত্য বিস্তারকারী অবস্থান। এ পথে যুদ্ধ করতে গেলে চীনের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যদি ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধ হয়, তাহলে তা ১৯৬২ সালের মতো হবে না। এবার যুদ্ধ হলে উভয়পক্ষই আকাশ পথে বড় অপারেশনে যেতে পারে। দুই দেশের কাছেই কৌশলগত এমন শক্তি রয়েছে বিমানবাহিনীতে, যা এ এলাকায় উড়ে গিয়ে মিশন সম্পন্ন করে নিজের দেশে ফেরত আসার সক্ষমতা রাখে।

চীনকে মোকাবিলায় আকাশপথের যুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার জন্য চীনের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারতের বিমান বাহিনী। চীন তার ফ্রন্টিয়ার সেনাদের দূরত্ব বজায় রেখে মোতায়েন করে। তিব্বত থেকে মাত্র ২১৩ মাইল দূরে অবস্থান নয়া দিল্লির। ভারতের বিমান বাহিনীর হাতে আছে ২৩০টি সু-৩০এমকে১ ফ্লাঙ্কারস, ৬৯টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া তাদের হাতে আছে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র।

ফলে চীনের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারত। দুই ফ্রন্টের যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য সক্ষমতা রয়েছে ভারতের।একটি ফ্রন্টে রয়েছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। অন্যদিকে চীন। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ও উচ্চ মূল্যবান বিভিন্ন টার্গেট সুরক্ষিত রাখতে ভারত এসব স্থানে মোতায়েন করছে আকাশ-মধ্যম পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।

তবে চীনের ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের যে বাড়বাড়ন্ত আছে, ভারত তা থামিয়ে দিতে পারবে না। সিনজিয়াং এবং তিব্বতের ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট থেকে ভারতের উত্তরাঞ্চলের অর্ধেক এলাকায় টার্গেট করতে পারে চীন। কারণ, ভারতের হাতে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করে দিতে আকাশ ও স্থলভাগের সম্পদের ক্ষতি থামানোর মতো কোনো ব্যবস্থা নেই ভারতের হাতে।

ভারতের যেসব ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে তা পারমাণবিক মিশনের প্রতি উৎসর্গিত। প্রচলিত কোনো যুদ্ধে এটি ব্যবহার করা হবে না।কিন্তু প্যাসিফিক মহাসাগরের দিকে চীন যদি তার জাহাজকে ঠেলে দিতে বাধ্য হয় তাতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আমেরিকার বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে তারাও একশনে যেতে পারে।

চীনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল প্রয়োজন তার শতকরা ৮৭ ভাগই আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে। এ কারণে চীনের জ্বালানি মজুদ বা সংগ্রহে টান ধরতে পারে। অনেক দিন ধরে তাদের জ্বালানি সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধের ইতি টানতে চাইতে পারে চীন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host