1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ অপরাহ্ন

টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে ৭৪১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৫১১ সময় দর্শন

সংবাদ ডেস্ক: ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে ৭৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এছাড়া প্রকল্পটির সময়সীমাও বেড়েছে।

প্রকল্পটি মূল খরচ ছিল ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সংশোধনীতে তা বেড়ে হলো ৩ হাজার ৩১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার এবং চীন সরকারের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৮১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল, এখন তা বেড়ে হলো ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

ঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ/ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০২১-এ বর্ণিত টেলিকম উদ্দেশ্যগুলো অর্জন, দেশে নির্ভরযোগ্য ও ব্যয় সাশ্রয়ী টেলিকমিউনিকেশন সুবিধাদি গড়ে তোলা, দেশে টেলিডেনসিটি ও টেলিএক্সেস সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং ব্রডব্যান্ড এক্সেস সুবিধাদি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি আইপ মাল্টিমিডিয়া সাবসিস্টেম (আইএমএস) প্ল্যাটফর্ম স্থাপন, যার ধারণক্ষমতা ১৬ লাখ টেলিফোন লাইন, ৬৪ জেলায় অপটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক স্থাপন, ব্রডব্যান্ড সুবিধা প্রদানের জন্য গিগাবাইট প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক (জিপিওএন) ও এক্সেস গেটওয়ে (এজিডব্লিউ) স্থাপন, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল (ওএফসি) এবং কপার নেটওয়ার্কের জন্য আউটসাইড প্লান্ট (ওএসপি) ওয়ার্ক, বিটিসিএলের আইপি নেটওয়ার্ক স্থাপন, দেশব্যাপী প্রায় ১ হাজার ৩১৮ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ব্যাকবোন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ও যন্ত্রপাতি স্থাপন, নেটওয়ার্ক অপারেশন এবং রক্ষাণাবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, অত্যাধুনিক বিজনেস অপারেশন সাপোর্ট সিস্টেম (বিওএসএস) স্থাপনের মাধ্যমে সার্ভিস প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনার সংযোজন, প্রয়োজনীয় পাওয়ার সিস্টেম (জেনারেটর, ব্যাটারি, রেক্টিফায়ার ইত্যাদি), অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি স্থাপন, উপজেলা পর্যায়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের মাধ্যমে জমি, স্থাপনা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদির সুরক্ষা প্রদান এবং প্রশিক্ষণসহ বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সমগ্র দেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুব সহজেই জনগণকে অত্যাধুনিক সেবা প্রদান নিশ্চিত হবে। এছাড়া সেবা প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় স্বয়ংক্রিয়তার সংযোজন হবে বিধায় টেলিযোগাযোগ সেবা পূর্বের চেয়েও বেশি গ্রাহকবান্ধব ও আকর্ষণীয় হবে।

এছাড় দেশে আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন সুবিধা গড়ে তোলা ও দেশে টেলিডেনসিটি বৃদ্ধি এবং টেলিএক্সেস সুবিধার সম্প্রসারণসহ জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যে আইসিটি সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host