দিন দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মারা গেছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই অনেক মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কারো লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে বা কারো পাচ্ছে না। প্রথমে ঠান্ডা সর্দি জ্বর দিয়ে শুরু হলেও এখন আর সেই উপসর্গে থেমে নেই করোনা। মোট কথা পুরো শরীরের উপরই করোনার প্রভাব রয়েছে।
শুধুমাত্র শরীরের র্যাশ করোনার লক্ষণ হতে পারে বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জানুয়ারী মাসে লক্ষণটি প্রকাশ পাওয়ার পর জ্বর,শুকনো কাশি, শ্বাস কষ্টের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে স্বাদ গন্ধ না পাওয়া,মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া এগুলো যোগ হয়। বেশ কিছুদিন ধরে গবেষকরা গায়ে র্যাশের কথা তুলে ধরেছেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা ৩ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের উপর একটি গবেষণা করে দেখেছেন যেখানে ৯০ শতাংশ ব্রিটনবাসী যাদের করোনা হয়েছিল তাদের ত্বকে র্যাশের লক্ষণ ছিলো। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে বা পরে স্কিনে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
স্কিনে যে লাল দাগ বা র্যাশ এ থেকেও মানুষ সহজে সংক্রমিত হতে পারে। যাদের ত্বকে তেমন কোন সমস্যা নেই তাও স্কিনে র্যাশ দেখা দেয়।
এমনটা প্রথম দেখা দেয় ইতালিতে। তার পর ফিনল্যান্ড, স্পেন, কানাডা, আমেরিকা থেকেও এমন উপসর্গের খবর আসতে শুরু করে। যেসব অঞ্চলে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানেই এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
করোনার প্রকৃতি ও উপসর্গ বুঝে উঠতে যেয়ে এখনো নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে যেমন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যদিকে সামনে আসছে নানা উপসর্গ।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া