ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের রাজনৈতিক যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়বদল হিসেবে দেখছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনটি হবে ঐতিহাসিক, আর এর মাধ্যমেই গণতন্ত্রের পুনঃসূচনা ঘটবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীতে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সকালেই পৃথক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সানাউল্লাহ জানান, একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বর্তমান নির্বাচন কমিশন, আর সে প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী হবে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণের কারণে।
পটভূমিতে উঠে এসেছে, নরসিংদীর মাধবদী থেকে সাভার, গাজীপুর পর্যন্ত সাম্প্রতিক নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক আগ্রহও বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে এবার রেকর্ডসংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক অংশ নেবেন। কমিশনারের ভাষায়, “তারা সবাই একটি ঐতিহাসিক নির্বাচনের অংশীদার হতে চান।”
কর্মশালায় সানাউল্লাহ আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপতৎপরতা ও এআই-এর অপব্যবহার ঠেকানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে কমিশন এই ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানায়, রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা আছে। সেই হিসেবে প্রায় ৬০ দিনের ব্যবধানে তফসিল ঘোষণা হতে পারে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঠিক হয়নি, তবে সানাউল্লাহর বক্তব্যে স্পষ্ট, কমিশন প্রস্তুত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে।
প্রতিবেদনের শেষে স্পষ্ট হয়, নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে আগ্রহ বাড়ছে, আর কমিশন চাইছে সেই প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন করতে।
সূত্র: এফএনএস।