1. admin@ddnnewsbd.com : admin : ddn newsbd
  2. mamahbubulalom@gmail.com : mahbubul alom : mahbubul alom
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কখন থেকে কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সিদ্ধান্ত দিল আদালত

ডিডিএন নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২ সময় দর্শন

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ উল্লেখ করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আপিল বিভাগ বলছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।

গত ১১ নভেম্বর শেষ হওয়া এ আপিল শুনানিতে বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভুইয়া, বিএনপির পক্ষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মির্জা ফখরুলের পক্ষে ব্যারিস্টার জয়নুল আবেদীন এবং জামায়াতে ইসলামীর গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, আমরা এখন যে অবস্থায় আছি তাতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলেও এবার অর্থাৎ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এ ব্যবস্থায় করার সুযোগ নেই।

শুনানিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে নির্বাচন, তা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে না। আদালতে আমরা বলেছি, পরবর্তী নির্বাচন থেকে এ বিধান কার্যকর হতে পারে।’

জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরও মনে করেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে। সংসদ ভাঙার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান ছিল। সংসদ না থাকলে ভাঙার প্রশ্নই আসে না। এখন তো সে রকম পরিস্থিতি নেই। আর সংসদ ভেঙেছে এক বছরেরও বেশি সময় আগে। ফলে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োগের সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তার মতে, বর্তমানে দেশ একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। তাদের তিনটি ম্যান্ডেট- বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। সেই ধারাবাহিকতায়ই আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন সংসদ গঠনের পর চাইলে আগের তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল করা যেতে পারে অথবা জুলাই সনদের মেকানিজম অনুযায়ী নতুন কাঠামো গড়া যেতে পারে।

মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এ আপিলে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।

উল্লেখ্য, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি বের হবার আগেই ২০১১ সালের ৩০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলুপ্তিসহ ৫৫টি সংশোধনীসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে পাস করে এবং ৩ জুলাই তা অনুমোদন করিয়ে নেয়।

গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনীর ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানবিরোধী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ তৈরি হয়।

সূত্র: আমার দেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
২০২০© এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ*
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host