ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি :
প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ট্রোক করে মারা গেছে বাবা । সেই শোক কাটতে না কাটতে মারা গেলেন মা। বাবা-মাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরে তাদের দুই শিশু সন্তান। বড় সন্তান মেয়ে,নাম মরিয়ম খাতুন,বয়স ৯ বছর। মরিয়ম গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শেণিতে পড়ে। ছোট সন্তান ছেলে,নাম ইসমাইল হোসেন,বয়স ৬ বছর। সে একই বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক এ ভর্তি হয়েছে । ছোট ভাইয়ের দায়িত্বকাঁধে নিয়ে সংসারের হাল ধরেছে বড় বোন শিশু মরিয়ম। ছোট ভাইয়ের খাওয়া-দাওয়া,লেখা-পড়া,রাতে ঘুম পাড়ানো সব কিছুই মরিয়ম করছে। ঘটনাটি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের।
মাদারবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির জানান,বাচ্চা দুটোর পিতা ওয়াজেদ আলী পাঁচ বছর আগে স্ট্রোকে মারা যান। তাদের মা আজিমা খাতুন বিধবা হওয়ার পর বাচ্চা দুটোকে আগলে রেখে খুব কষ্টে সংসার চালাচ্ছিলেন। তিনিও ২২দিন আগে স্ট্রোকে মারা গেছেন। তাদের ছোট্ট একটা কুঁড়ে ঘরে বসবাস। এখন বাচ্চা দুটো এতিম হয়ে পড়েছে। তবুও চতুর্থ শেণির ছাত্রী মরিয়ম ছোট ভাই ইসমাইলের দায়িত্ব নিয়ে লেখাপড়া ও সংসার দুটোরই হাল ধরেছেন।
মরিয়মের প্রতিবেশি চাচা হোসেন আলী বলেন,পাড়ার সবাই মিলে তাদের দেখভাল করা হচ্ছে। তবে তাদের ঘরের অবস্থাও খারাপ,জমি-জমা কোনো কিছুই নাই। ফলে বাচ্চাদের ভবিষ্যত নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তিনি এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে হিউম্যান ওয়েলফেয়ার রিসোর্স সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহবুব উল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি অসহায় শিশু পরিবারটির জন্য যতটুকু সম্ভব করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। ।