পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্র শরৎনগর বাজারে রাস্তার ওপর হাট বসায় জনসুর্ভোগ বেড়েছে। এখানে সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার দু’দিন নিয়মিত হাট বসলেও এর আগের দু’দিন ভোরে বসে পাটের হাট। ফলে চারদিন সকালে রাস্তায় মারাতœক জ্যাম সুষ্টি হয়। এতে পরিবেশ যেমন নোংরা হচ্ছে, তেমনি নাগরিকরা পৌরশহরে বসবাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানাগেছে,বৃটিশ আমল থেকে এখানে হাট বসে। এজন্য শরৎনগর বাজারে সরকারের অনেক খাস সম্পত্তি রয়েছে। যেখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে আধুনিক পৌর মার্কেট স্থাপন সম্ভব। পৌরসভা প্রথম শ্রেনিতে উন্নীত হবার পর এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। রাস্তাঘাটও সম্প্রসারণ করা হয়নি। উপরন্ত প্রতিযোগিতা করে আবাসিক এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বড় বড় গুদামঘর। দিনের বেলায় রাস্তার ওপর ট্রাকের মালামাল লোড-আনলোডের কারণে জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ ঘটছে,দুর্ঘটনাও বাড়ছে।
হাটের দিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বিপাকে। এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী পৌরসদর আরবান এলাকা ঘোষনা করায় মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু পৌরসভার প্রধান ইনকামের উৎস হলো এই হাট। এজন্য হাট রাখার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নাই। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় পৌরসভার ভিতরে অন্য কোথাও হাট স্থানান্তর করা যেতে পারে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
শরৎনগর বিকেজি রোডের বাসিন্দা কবি অধ্যাপক নুরুজ্জামান মুসাফির বলেন,শনিবার তার বাসার প্রবেশ দ্বারে গরুর হাট বসানো হয়। অনেক আবেদন-নিবেদন করেও হাট সরানো যায়নি। ফলে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার কোনো সুবিধা তিনি পাচ্ছেন না। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বসবাস করেও গোবরের গন্ধ আর অসুস্থ পরিবেশে তিনি একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এজন্য আবাসিক এলাকার পরিবর্তে তিনি পৌরসভার অন্য কোনো স্থানে হাট স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন,পৌরশহরে হাট যানজট তৈরি করলেও বিকল্প জায়গা না থাকায় আপাতত স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের মাস্টার প্লান অনুযায়ী যখন কাজ শুরু হবে তখন হয়তো বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা হতে পারে।।